যশোর শহরে ঘোপে একদিনে আক্রান্ত ১৬ - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

a1

Sunday, April 18, 2021

যশোর শহরে ঘোপে একদিনে আক্রান্ত ১৬

 


করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়ে যশোর শহরের ঘোপ এলাকা শীর্ষে অবস্থান করছে।

পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড ঘোপ এলাকায় একদিনে ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গত শুক্রবার একদিনে ৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর ভেতর ১৬ জনই ঘোপ এলাকার। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষিত নমুনায় তারা আক্রান্ত হন। আক্রান্তরা হচ্ছেন- মো. মনিনুল ইসলাম (৪৫), রুবী (৫০), শাহীদুল বারী (৫৫), শেখ হাসিবুল বারী (৬১), জানাতুল ফেরদৌস (২২), আফিয়া হুমাইয়া বারী (৩৫), তাজরিমা (১৫), চৌয়া (১৩), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৪), সাহেব (২৮), লাইলা বারী (৪৬(, শাকিলা পারভীন (৫০), হুদা (১৩), মো. আসাদুজ্জামান (৬৪), আজিমুল হক (৪২) ও মারুফ হাসান (৫০)।
এছাড়া আরও ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারা হলেন- যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের কর্মরত মর্জিনা বেগম (৫৫), আব্দুল কাদের (৩৩), যারা চাকরি সূত্রে ঘোপে অবস্থান করেন বাকীরা যশোর শহরেরর বিভিন্ন ওয়ার্ডের।গতকাল যশোর সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় যশোর শহর ও সদর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কাল পর্যন্ত যশোর সদর উপজেলা ও যশোর পৌরসভায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫শ’ ৩১ জন।
এদিকে শুক্রবার যশোরে করোনা পরীক্ষার জন্যে কোন নমুনা নেয়া হয়নি। কেউ আক্রান্তও হয়নি।যশোর সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছেন, শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় করোনার কোন নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়নি। আক্রান্তও হয়নি কেউ। তবে, খুলনায় যশোরের ২৩ জন নমুনা পরীক্ষা দিয়েছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হতে পরীক্ষিত ওই ২৩টি রিপোর্টে ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এ নিয়ে গতকাল জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮শ’ ২৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৯শ’ ৬০ জন। ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৭শ’ ৮৫ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। হাসপাতাল ও আইসোলেশনে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৭ মার্চ আইসোলেশনে ১শ’ ৬২ জন এবং হাসপাতালে রোগী ছিলেন ৮ জন। আর এক মাসের ব্যবধানে গতকাল হাসপাতালে রোগী ছিলেন ১৬ জন। আইসোলেশনে ছিলেন ৭শ’ ৮৫ জন রোগী। প্রথম দিকে করোনায় আক্রান্তদের ভেতর অসুস্থতার মাত্রা ছিল কম। দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে করোনায় আক্রান্তের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ জানিয়েছেন।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad