যশোরে ছাত্রদলের এক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করেছে সন্ত্রাসীরা। আহত রুবেল যশোর সরকারি এম এম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও শহরের ষষ্ঠিতলাপাড়ার নওশের আলীর ছেলে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ করা হচ্ছে ছাত্রদলের বিপরীত পক্ষের নেতাকর্মীরা তার উপর হামলা চালিয়েছে। যশোর জিলা স্কুল মাঠের ভেতরে বুধবার রাত পৌনে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রুবেল জানায়, একমাস আগে লালদিঘির পাড়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনের সময় মানববন্ধনে দাড়ানো নিয়ে সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক মিজানের সাথে গোলোযোগ বাধে। এসময় বিষয়টি হাতাহাতি পর্যায় চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির উচ্চ পর্যায় নেতা পর্যন্ত গড়াই। কিন্তু সমাধান মেলেনা। এর জেরে রাতে মিজানের নেতৃত্বে তার উপর বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে বেজপাড়া আনছার ক্যাম্প এলঅকার ররিউলের ছেলে স্বাক্ষর সহ চার পাঁচজন রামদা দিয়ে রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
এদিকে, হাসপাতালে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজেদুর রহমান সাগর ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা আহত রুবেলকে হাসপাতালে দেখতে আসলে বিপরীত পক্ষের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও হয়। এক পর্যায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় রানা ও সাগরকে পুলিশ হেফাজতে নেয় বলে ছাত্রদলের একটি পক্ষ দাবি করছেন। যদিও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তন্ময় বিশ্বাস জানান রুবেলের মাথা, ঠোঁট, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে আনার পর তার শরীরে অস্ত্রোপচার চালানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত । ঘটনার খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে রুবেলকে দেখতে গিয়েছেন। একই সাথে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি কামনা করেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, তিনি কিছুই জানেন না।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, এক যুবক আহত হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটকের তথ্য তার কাছে নেই।
No comments:
Post a Comment