যশোরে হানি ট্র্যাপর আরও একটি চক্র গ্রেফতার - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

ads

a1

Tuesday, January 28, 2025

যশোরে হানি ট্র্যাপর আরও একটি চক্র গ্রেফতার

 




যশোর শহরের খালধার রোড এলাকার একটি ফ্লাট থেকে হানি ট্র্যাপের ৬ সদস্যকে পাকড়াও করেছে ডিবি পুলিশের একটি চৌকষ দল। তারা নারীদের দিয়ে কৌশলে পুরুষদের ডেকে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করতো। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। একই সাথে ভিকটিমকেও উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। এসময় তাদের ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে এক বিফিংয়ে ডিবি পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। এরআগে যশোর শহরের উপশহর এলাকা থেকে আরও একটি সংঘবদ্ধ হানি ট্র্যাপ চক্র ডিবির জালে গ্রেফতার হয়।

আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন-উপশহর বি ব্লক এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে ফাহিম হোসেন, বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বী, মধুগ্রামের হারুন উর রশিদের ছেলে মারুফ হোসেন, শংকরপুর বাস টার্মিনার এলাকার শুকুর আলীর ছেলে ছাব্বির হোসেন, বেজপাড়ার মৃত মতিয়ারের ছেলে শাহরিয়ার হোসেন রোহান ও বেজপাড়া দিঘীরপাড় এলাকার মৃত অশোক কুমার দাসের মেয়ে লক্ষী রানী সরদার ওরফে রাবেয়া খাতুন।


ডিবির পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুরুল হক ভুঞা জানান, ঝিকরগাছার ফুলবাড়ি গ্রামের আশিকুর রহমান এ চক্রের ফাঁদে পড়ে। আশিকুরকে তারা অপহরণ করে পাঁচলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে আশিকুরের মা সালমা বেগম এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানায় অভিযোগ দেন। বিষয়টি পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ডিবিকে। পরে ডিবির এসআই আল মামুনের নেতৃত্বে একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় প্রথমে বিপুলের অবস্থান শনাক্ত করেন। এরপর ডিবির টিম রাত সাড়ে ১২ টায় শহরের খালধার রোড আমিনিয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে আসামি ফাহিমকে আটক করে ও ভিকটিম আশিকুরকে উদ্ধার করে। পরবর্তিতে জিজ্ঞাসাবাদে এসব বিষয় খুলে বলেন। একপর্যায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের অন্য পাঁচসদস্যকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, মুলত লক্ষী রানী সরদার ওরফে রাবেয়ার সাথে আশিকুর পূর্বপরিচিত ছিলো। সেই সূত্র ধরে শনিবার দুপুরে আশিকুরকে যশোরে আনা হয়। পরে খালধার রোডের ওই ফ্লাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওৎ পেতে বসে ছিলো অন্যরা। এরপর তাকে আটক করে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে পাঁচলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এমনকি বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেয় এ চক্রের সদস্যরা।

ডিবি আরও জানায়, মুলত এ চক্রের কাজই মেয়েদের দিয়ে ছেলেদের কৌশলে ডেকে এনে ব্লাক মেইল করা। এছাড়া কৌশলে কোনো নির্জন রুমে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করা। অনেক সময় এ চক্রের সদস্যরা মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নেয়।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad