আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে যশোর শহরের বহুলালোচিত ঝালাইপট্টি কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা একটি নতুন সিন্ডিকেট ভেজাল বাংলা মদ বেচাকেনায় লিপ্ত হয়েছে। ৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট লাইসেন্স ছাড়াই বাংলা মদের বিকিকিনি চালাচ্ছে। তারা ভ্রাম্যমান স্টাইলে মদ সাপ্লাই দিচ্ছে আবার পার্সেল হিসেবেও মদ সরবরাহ করছে। এছাড়া যৌনপল্লীর কয়েকটি ঘর ও পাশের দুটি চায়ের দোকান ব্যবহার করছে চক্রটি। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পতিতা পল্লীকে পুঁজি করে যশোরের ঝালাইপট্টি কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা নয়া ভেজাল মদ কারবারী সিন্ডিকেট শহর জুড়ে ভ্রাম্যমানভাবে মদ সাপ্লাই দিচ্ছে। একজন লাইসেন্সধারী মদ বিক্রেতার লোকজনের কাছ থেকে অবৈধ পন্থায় ড্রাম ড্রাম মদ কিনে তাতে পানি ও ট্যাবলেট মিশিয়ে করছে ভেজাল। এই চক্রে রয়েছেন বেজপড়া বুনোপাড়ার আনারুল, শেখহাটি জারুলতলার মহসীন, ঘোপের পাপ্পু, সিটি কলেজ পাড়ার জীবন ও বকচরের মনির। ৫ জনের এই সিন্ডিকেটের কারো লাইসেন্স নেই, নেই কোন কাগজপত্র। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখানে তারা ভোল পাল্টে চালাচ্ছে ভেজাল মদের কারবার। অনেক দিন ধরে বাংলা মদের নামে ভেজাল কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এরা মদে মিশাচ্ছে পানি ও নেশা জাতীয় ট্যাবলেট। পরে লেভেল লাগিয়ে বাংলা মদ বলে জাহির করছে।
গত বছর করোনার শুরুতে ভেজাল মদ পান করে যশোরের এক ডজন লোক মারা যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ ব্যাপক আটক অভিযান চালায়। এছাড়া ৩টি মামলা করে আলোচিত মদ কারবারীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। এ ঘটনায় তারা এখন গা ঢাকা দিয়ে আছে। আর সেই সুযোগে নতুন এই সিন্ডিকেট মদ বিকিকিনিতে লিপ্ত হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। ভারতীয়, বিলেতিসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের বোতল সংগ্রহ করে তাতে ভেজাল মদ ভরে লেভেল লাগিয়ে চালিয়ে ভ্রাম্যমানভাবে দিচ্ছে ক্রেতাদের কাছে। আর পার্সেল সরবরাহের নামে মদের আদলে কৌশলে তারা পানিও বিক্রি করে নিচ্ছে সমান দামে। লাইসেন্স ও কাগজপত্র না থাকলেও ওই সিন্ডিকেট পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বহাল তবিয়তে ব্যবসা করছে। বাংলা মদের আদলে ভেজাল ব্যবসা পরিচালনাকারী চক্রটি লকডাউনেও সক্রিয়।
সুত্রঃ গ্রামের কাগজ
No comments:
Post a Comment