দরিদ্র রিক্সাচালক এনামুল লকডাউন শুরুর পর থেকে আছেন আর্থিক কষ্টে। পেটের দায়ে লকডাউনের মধ্যেই তাই বের হয়েছেন রিকশা নিয়ে। কিন্ত পথে তাকে আটকে দেয় পুলিশ। জব্দ করা রিকশা ফিরে পেতে তার ঝরছে এখন চোখের পানি।
চলমান এই লকডাউনে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুরেরা। কাজ তেমন না থাকায় পরিবার নিয়ে কষ্টে কাটাচ্ছেন দিন। পেটের তাগিদে কেউ কেউ বের হলেও পড়ছেন পুলিশি বাঁধায়। তবে লকডাউনে হতদরিদ্র ৩৬ লাখ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শিগগিরই আড়াই হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হবে, জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
রিক্সাচালক এনামুলের মতো এমন অবস্থায় আরও অনেকে। পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে রিক্সা নিয়ে মূল সড়কে বেরিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
করোনা রোধে সারা দেশে ১৪ তারিখ থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হলেও দিনমজুর বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহায়তায় তেমন কোনো সরকারি বা বেসরকারি কার্যক্রম নেই। এতে করে দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।
রিক্সাচালক এনামুল জানান, আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই। আজ আমার ঘরে খাবার নেই, রাস্তাই বের হয়েও কোন কাজ পাই না। তারওপর তো পুলিশের চেক আছেই। আমাদের মতো গরীবের খবর কেউ রাখে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
তবে তেঁজগাও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি মো.শরিফুল ইসলাম জানান, হতদরিদ্রদের পরিস্থিতি অনুযায়ী ছাড় দেয়া হচ্ছে। আমরা তাদের কথা শুনে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ছেড়ে দিচ্ছি।
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, সরকার এইসব খেটে খাওয়া মানুষের কথা অবশ্যই মাথায় রেখেছে। খুব শিগগিরই দরিদ্রদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। হতদরিদ্র ৩৬ লাখ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শিগগিরই আড়াই হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment