কিশোরগঞ্জের মসজিদের দানবাক্সে মিললো পৌনে ২ কোটি টাকা - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

a1

Saturday, August 22, 2020

কিশোরগঞ্জের মসজিদের দানবাক্সে মিললো পৌনে ২ কোটি টাকা

 

কিশোরগঞ্জের একটি মসজিদের দানবক্স খুললেই পাওয়া যায় কোটি কোটি টাকা, বিদেশি মুদ্রাসহ সোনাদানা। প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজারো মানুষ মানত আদায় করতে ছুটে আসেন এ মসজিদে। তিন মাস পর পর মসজিদের দানবক্স খোলা হলেও এবার করোনা পরিস্থিতিতে দানবক্স খোলা হয় ছয় মাস পর। আর এবার টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় পৌনে দুই কোটি।

সারিবদ্ধ হয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক গুনছেন নগদ টাকা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এমন দৃশ্য কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের।

শহরের হারুয়া এলাকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক এ মসজিদের দান বাক্স থেকে প্রতি তিন মাস পর মেলে কোটি টাকা। তবে করোনার কারণে ছয়মাস পর শনিবার মসজিদের ৮টি লোহার দানবক্স খোলা হয়। দিনভর গগনা শেষে টাকার হিসেব দাঁড়ায় প্রায় এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদ পারভেজ বলেন, শুক্রবার প্রায় ৭-৮ জন মহিলা আসে।

এখানে দান করলে বেশি সওয়াব হয় এবং মানত করলে পূর্ণ হয় মনোবাসনা। এমন বিশ্বাস থেকে এখানে প্রতিনিয়ত নগদ টাকা, গহনা, বৈদেশিক, গরু ছাগলসহ নানা সামগ্রী দান করে থাকেন নানা শ্রেণি-পেশা আর ধর্মের মানুষ।

মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে অবশিষ্ট টাকা জমা রাখা হয় ব্যাংকে। মসজিদের আয় থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসা ও এতিমখানার খরচ চলে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূইয়া বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এই টাকা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

গত বছর টাকার পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৭৬ হাজার ১৭৭ টাকা।

জনশ্রুতি আছে, পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক ব্যক্তি নরসুন্দা নদীতে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে ধ্যানমগ্ন হন। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে উঠে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত মসজিদটি 'পাগলা মসজিদ' নামে পরিচিত।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad