তিনি বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু পরিবারের বাকি সদস্যদের ও প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ কামনা করে পূজা দিতেন এবং আগস্ট মাসে শোক পালন করে পূজার্চনা করতেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখার ইচ্ছা ছিল পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের পূর্বশিকারপুর গ্রামের ৮১ বছরের বৃদ্ধা যামিনী বালা সেনের। তবে সেই ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে গেলো।
গত বুধবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসায় প্রতি বছর পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে শোক দিবস পালনকারী যামিনী বালা সেন।
তার ছেলে সত্যেন চন্দ্র সেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সত্যেন চন্দ্র সেন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে পূর্বশিকারপুর গ্রামের পারিবারিক শ্মশানঘাটে তার মায়ের মৃতদেহ দাহ করা হয়।
আগামী ১২ অথবা ১৩ সেপ্টেম্বরে শেষকৃত্য অনুষ্ঠান হবে। ইতোপূর্বে তার মা শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। কিন্তু গত ১০ আগস্ট থেকে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হন।
তিনি আরও জানান, আফসোস শুধু আমার মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো না। তিনি আশায় বুক বেঁধে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে একবার নিজ চোখে দেখবেন। কিন্তু তার আগেই তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আমার মা যেন স্বর্গবাসী হন, ভগবানের কাছে সেই কামনাই করি।
সত্যেন সেন বলেন, প্রতিবছর শোকের মাসে মা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য শোক পালন করতেন। এবার তিনি শয্যাশায়ী থাকায় নিজে আয়োজন করতে পারেননি, তবে বিছানায় শুয়ে শুয়ে শোক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তার নির্দেশেই এবার আমরা গত ১৭ আগস্ট বাসায় এই শোক দিবসের অনুষ্ঠান করি। এখন থেকে মায়ের অনুপস্থিতিতেই আমরা সন্তানরাসহ পরিবারের সদস্যরা মিলে শোক দিবস পালন করবো। মৃত্যুর আগে মা এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বঙ্গবন্ধু ভক্ত যামিনী বালার খবর প্রকাশিত হয়।
সেই সংবাদে মৃত্যুর আগে তার শেষ চাওয়া বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাছ দেখার কথা জানা যায়। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা থেকে বছরের পর বছর তিনি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কল্যাণ কামনায় প্রদীপ জ্বালিয়ে, দূর্বা, ফুলসহ নানা উপকরণ দিয়ে নারায়ণ পূজাসহ বিশেষ প্রার্থনা করতেন।
এছাড়া কীর্তন ও প্রসাদ বিতরণও করতেন তিনি।
No comments:
Post a Comment