সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের জানুয়ারিতেই পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

a1

Saturday, August 29, 2020

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের জানুয়ারিতেই পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন

 


করোনাভাইরাসের টিকা পেতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের জানুয়ারিতেই পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এসআইই’র সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। দেশের ওষুধখাতের শীর্ষ এই কোম্পানি বলছে, চুক্তির আওতায় ভ্যাকসিনের জন্য এসআইই’তে বিনিয়োগ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

করোনার ভ্যাকসিন প্রস্তুত ও এর কার্যকারিতা পরীক্ষায় বিশ্বব্যাপী চলছে নানা গবেষণা। এই কাতারে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে বাংলাদেশ সরকারও চালাচ্ছে নানা তৎপরতা। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বাংলাদেশ সফরে ভারতে তৈরি টিকা প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা হয় ফলপ্রসূ। এছাড়া দেশে ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছে চীনের সিনোব্যাক কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিন।

সরকারের এত উদ্যোগের মাঝে নতুন আশাবাদ জাগাল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা দেশে আনতে দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে বেক্সিমকো। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিনিয়োগ চুক্তি করায়, ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ হিসেবে ভ্যাকসিন পেতে অগ্রাধিকার পাবে তারা।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা বলেন, ‘আমরা ওয়ার্ল্ডের ফার্স্ট কোম্পানি রেমডেসিভির লঞ্জ করেছি। সেই সঙ্গে প্রতিটা সরকারি হাসপাতালে ফ্রি এই ওষুধটি দিয়েছি। এরপর আমরা চেষ্টা করছি, কীভাবে সরকারকে আরও সাহায্য করা যায়। এছাড়াও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এসআইই’র সাথে সরাসরি চুক্তি করি।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করা ২০২১ সালের শুরুতে ভ্যাকসিন পাওয়ার আশাবাদ জানিয়ে বেক্সিমকো বলছে, ওষুধের দাম সাধারণের নাগালে রাখতে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

রাব্বুর রেজা আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে, যত কম মূল্যে এটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।

বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রায়াল সফল হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আনোয়ারুল ইকবাল মিতু বলেন, যেটাই আসবে সেটাই ভালো। যেহেতু আমরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম নন। কিছু ভ্যাকসিন ডব্লিউএইচও আমাদেরকে ফ্রি'তে দেবে, এটা নিয়ম।

করোনার টিকা আবিষ্কারে বিশ্বব্যাপী দেশের অন্তত ১৭০টি ভ্যাকসিন নিয়ে রিসার্স চলছে। এর মধ্যে ফেজ থ্রি পর্যায়ে রয়েছে ৩০টি। এছাড়া এডভান্স স্টেইজে আছে ৭টি।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad