কেশবপুরে দ্বিতীয়বার মেয়র হলেন রফিকুল - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

a1

Sunday, February 28, 2021

কেশবপুরে দ্বিতীয়বার মেয়র হলেন রফিকুল


আজ যশোরের কেশবপুর পৌরসভার নির্বাচন। প্রথমবারের মতো এ পৌরসভার ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনের এধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন কেশবপুর পৌরসভার ভোটাররা।

নির্বাচন অফিস মতে, নির্বাচনে ১০টি কেন্দ্রে ২০ হাজার ৭শ ২৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী, ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন ও ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পৌর মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। আর বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সামাদ বিশ্বাস ধানের শীষ ও ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী আব্দুল কাদের নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন হাতপাখা প্রতীক নিয়ে।

জানা গেছে, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মরহুম এএসএইচকে সাদেকের প্রচেষ্টায় ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কেশবপুর পৌরসভা। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ২ শ’ ৪৯ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বারের মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস ৫ হাজার ৬ শ’ ২ ভোট পেয়েছিলেন।

বিগত ৫ বছরে কেশবপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলামের কর্ম দক্ষতায় পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এলজিএসপি, এডিপি, ইউজিএফ, নগর উন্নয়ন প্রকল্প, রাজস্ব ও উন্নয়ন খাতসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের যেমন রাস্তা, ফুটপাত, ড্রেনসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। তেমনি সড়ক বাতি, সোলার লাইট, ফুলগাছ রোপনের কারণে শহরের শোভাবর্ধন হয়েছে। তেমনি বেড়েছে নাগরিক সুবিধাও। তাছাড়া পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বিগত ৫ বছর সকাল, সন্ধ্যা ও রাতে পর্যায়ক্রমে পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে গণসংযোগ চালিয়ে যাওয়ায় তিনি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। ২ বছর বন্যা, ডেঙ্গু ও করোনাকালীন সময়ে তিনি পৌর বাসীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন। যে কারণে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম ইতিমধ্যে জনদরদী মেয়র হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছেন। আজকের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে সর্বোচ্চ ভোট প্রদান করে রফিকুল ইসলামকে বিজয়ী করবেন বলে পৌরসভার ভোটাররা তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad