যশোর পৌরসভা হঠাৎ করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চালের খাজনা ও টোল বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন চাল ব্যবসায়ীরা। এর প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিবাদে বড় বজারের চাল ব্যবসায়ীরা আজ বুধবার প্রতীকী ধর্মঘটের অংশ হিসেবে চাল বিক্রি করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি উচ্চরণ করেন নেতৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতি প্রতিবাদে চালের আড়তে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিগত দুই মাস আগে বড় বাজারের ইজারাদার প্রদীপ কুমার নাথ বাবলু, চালের খাজনাসহ টোল বৃদ্ধির পাঁয়তারা শুরু করেন। বিষয়টি পৌর মেয়র হায়দার গণি খান পলাশকে অবহিত করলে তিনি খাজনা ও টোল বৃদ্ধি করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সোমবার হঠাৎ করে ইজারাদার ও পৌর কাউন্সিলর খাজনা ও টোল বৃদ্ধির তালিকা নিয়ে হাজির হন। যেখানে বস্তা প্রতি চাল আমদানি ও রপ্তানির খাজনা ৬ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকা করা হয়েছে। আবার চাল চান্নির মধ্যে দিন প্রতি ১০ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকা টোল বাড়ানো হয়েছে। পৌর মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ স্বাক্ষরিত এই রেট নিয়ে টোল আদায় করতে আসেন ইজারাদার প্রদীপ কুমার নাথ বাবলু। রফিকুল ইসলাম মুল্লুক চাঁদ আরও বলেন, পৌরসভার এই অনৈতিক ও নিয়ম বহির্ভূত খাজনা ও টোল বৃদ্ধির কারণে ভোক্তা পর্যায়ে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এতে বাজারে প্রতি কেজি চালের মূল্য বৃদ্ধি পাবে এবং বাড়তি অর্থ গুণতে হবে ভোক্তাদের। করোনার এই বিপদকালীন সময়ে চাল ব্যবসায়ীরা মানবিক দিক বিবেচনা করে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু পৌর মেয়রের এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জন্যে মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়াবে। পৌরসভার টোল বৃদ্ধির কোন এখতিয়ার নেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ছাড়া। প্রতি বৈশাখের প্রথমে ইজারা ও টোল ধার্য হয়। সেখানে হঠাৎ করেই দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি। আজ বুধবার এর প্রতিবাদে বড় বজারের চাল ব্যবসায়ীরা প্রতীকী ধর্মঘটের অংশ হিসেবে চাল বিক্রি করবেন না। পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি উচ্চরণ করেন চাল ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল বিশ্বাস, সহসভাপতি হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সম্পাদক বদরুল আলম, সদস্য বিষ্ণুপদ সাহা, শহিদুল বিশ্বাস, গোপাল চন্দ্র ঘোষ, ইসহক সরকার প্রমুখ। পরে নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। আর এই বিষয়ে যশোর পৌর সভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশের কাছে জানতে তার ব্যবহৃত নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
No comments:
Post a Comment