কোরআন শরিফ অবমাননা’ করায় লালমনিরহাটে একজনকে পিটিয়ে হত্যা : মৃতদেহে আগুন - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

a1

Thursday, October 29, 2020

কোরআন শরিফ অবমাননা’ করায় লালমনিরহাটে একজনকে পিটিয়ে হত্যা : মৃতদেহে আগুন

 


মসজিদে  প্রবেশ করে পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননা করার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতার পিটুনিতে লালমনিরহাটে একজন নিহত হয়েছে। তাঁর  নাম  শহিদুন্নবী জুয়েল। বাড়ি রংপুর শহরের শালবান এলাকায়। জুয়েল রংপুর ক্যান্ট পবলিক স্কুলের সাবেক শিক্ষক বলে জানা গেছে। তার বাবার নাম আবদুল ওয়াজেদ মিয়া।

মারপিটে মারাগেলে জনতা তাঁর মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতে ওই ব্যক্তির মরদেহও দগ্ধ হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  জেলার পাটগ্রামের বুড়িমারীতে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে ঘটনাস্থলে।



স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, মোটরসাইকেলে করে আসা অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে বুড়িমারী কেন্দ্রীয় বাজার মসজিদে যায়। এরপর মসজিদে অস্ত্র রয়েছে বলে দাবি করে  সেগুলো উদ্ধারের কথা বলে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে তারা পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননা এবং ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন। এ সময় মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিরা তাদের ধরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান।
এ খবর জানতে পেরে সেখানে জড়ো হওয়া বিক্ষুব্ধ লোকজন ইউনিয়ন পরিষদের গ্রিল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে একজনকে ধরে বাইরে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। তাতে একজন নিহত হন। পরে জানাযায় তাঁর নাম শহিদুন্নবী জুয়েল।বাড়ি রংপুর শহরের শালবান এলাকায়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তার মোড়ে থাকা তাদের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিলে তাতে দগ্ধ হয় নিহত ঐ ব্যক্তির মরদেহ ।

লালমনিরহাট জেলার পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা  বলছেন, ‘যতটুকু শুনেছি ২ জন  লোক মোটরসাইকেলে করে  মসজিদে  নামাজ পড়তে এসেছিল। আসরের নামাজ পড়া শেষে,  যে কোনো কারণেই হোক তাদের সঙ্গে মসজিদে যারা ছিলেন, তাদের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। তারা নাকি একটা শেলফে পা দিয়েছিলেন। এ নিয়েই বিরোধ বাঁধে। কেউ কেউ বলছেন কোরআন শরীফের ওপর পা পড়েছে- এ ধরণের গুজব ছড়িয়ে পড়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ এ অবস্থায় স্খানে অনেক লোক জড়ো হয়ে যায়। ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার একজনকে তাকে নিয়ে পুলিশের হাতে দেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের একটা রুমের মধ্যে আটকে রাখে। কিন্তু  পুলিশ আসার মধ্যেই অনেক লোক জড়ো হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রিল ভেঙে বিভিন্ন দিক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে

একজনকে জোর করে নিয়ে যায়। দু’জনের মধ্যে ওসি একজনকে রেসকিউ করেন। আরেকজনকে বিক্ষুব্ধ লোকজন ওইখানে পিটিয়ে মারে । এরপর লাশ তারা আগুন দিয়েছে,”
এদিকে তৌহিদুন্নবী নামে এক ব্যক্তি নিজেকে নিহতের ভাই বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন,  তাদের বাড়ি রংপুরে, কিন্তু তার ভাই কীভাবে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে গেল তা তিনি বুঝতে পারছেন না।  পুরো ঘটনায় তারা হতবাক এবং তাদের পরিবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে  ।

তিনি বলেন, আমার ভাই  রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিল। একবছর আগে চাকরি থেকে অব্যাহতি পায়।  মানসিক একটু অ্যাবনরমালিটি ছিল তাঁর। তবে সিরিয়াস কিছু না ‘ ।
লালমনিরহাটের  জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি সেখানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। 

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad