২২ বছর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার (সনি)। এত বছর পর আলোচিত ওই হত্যা মামলার আসামি ঢাবি ছাত্রদল নেতা মো. মুশফিক উদ্দীন টগরকে (৫০) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ২০০২ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী সনি হত্যা মামলায় পলাতক আসামি মো. মুশফিক উদ্দীন টগরকে রাজধানীর লালবাগ থানাধীন আজিমপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে একটি রিভলবার ও ১৫৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েট ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মুশফিক উদ্দিন টগর গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন সনি। দরপত্র নিয়ে ওই সংঘর্ষ হয়। বুয়েটের কেমিপ্রকৌশল বিভাগের ১৯৯৯ ব্যাচের ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি সেদিন ক্লাস শেষে বুয়েটের হলে ফিরছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তার নিহত হওয়ার পর সারা দেশে আন্দোলন হয়।
ঢাকার বিচারিক আদালতে সনি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ২০০৩ সালের ২৯ জুন। রায়ে ছাত্রদলের নেতা মুশফিক উদ্দিন টগর, মোকাম্মেল হায়াত খান ওরফে মুকিত ও নুরুল ইসলাম ওরফে সাগরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাঁচজনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এর পর থেকে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সনি হত্যার দিনটিকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’ হিসেবে পালন করেন।
No comments:
Post a Comment