যশোরের মনিরামপুরে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভ্যানচালক মিন্টু হোসেন (৪০) মারা গেছেন। নিহত মিন্টু উপজেলার হাকোবা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় মনিরামপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে হামলার এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাতেই ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিন্টুর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলায় বিএনপি নেতা ছাব্বির হোসেন ওরফে বড় ছাব্বিরসহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং আরও দুইজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ফারুক ও ছোট সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে প্রধান আসামি বড় ছাব্বির এখনও পলাতক।
মিন্টুর দুই ভাই সেন্টু ও পিকুল যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে সেন্টুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মিন্টুর মৃত্যুর খবরে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার সন্ধ্যায় নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করে দ্রুত সব আসামিকে গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
মনিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান জানান, দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং প্রধান আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।
এদিকে, পৌর বিএনপি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বড় ছাব্বিরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
 
 

 
 
 
 
 
 
 
No comments:
Post a Comment