সোমবার রাতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জেনোম সেন্টারে তার নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা কাজে নিয়োজিত টিমের একাধিক সদস্যও একই কথা বলেছেন।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন রাত সাড়ে ১২টার দিকে জানান, সোমবার সকালে এমপি রণজিৎ রায়ের যশোর শহরের বাসভবন থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একই সময় তার পরিবারের আরো সাত সদস্যের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেগুলো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। রাতে পাওয়া ফলাফলে দেখা যায়, এমপি রণজিত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যশোর শহরের রেল রোডের বাসভবনে সপরিবারে বসবাস করেন।
সিভিল সার্জন জানান, কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় সোমবার ওই বাসভবন থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা এমপিসহ তার পরিবারের আটজনের নমুনা সংগ্রহ করেন।এদিকে, যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারে দায়িত্বরতরাও রাত একটার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তারা জানিয়ে দেন, এই বিষয়ে গণমাধ্যমকে তথ্য দেবেন সিভিল সার্জন বা স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জেনোম সেন্টারে সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত টিমের বর্তমান লিডার ড. হাসান মো. আল ইমরান জানান, সোমবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে ১১টার মধ্যে যশোরের সিভিল সার্জন আটটি নমুনা অ্যাম্বুলেন্সযোগে পাঠান। তিনি অনুরোধ করেন, এই নমুনাগুলো যেন বিশেষ ব্যবস্থায় দ্রুত পরীক্ষা করে রিপোর্ট পাঠানো হয়। সেই অনুযায়ী দুপুর একটার দিকে কাজ শুরু করে তার (ড. ইমরান) নেতৃত্বাধীন যবিপ্রবির একটি বিশেষ টিম। রাত সাড়ে আটটা থেকে পৌনে নয়টার মধ্যে রিপোর্টগুলো পরীক্ষার কাজ শেষ হয়। এর পরপরই ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হয় সিভিল সার্জনকে।সিভিল সার্জন নিশ্চিত করেছেন, ওই আটটি নমুনা ছিল এমপি রণজিত রায় ও তার পরিবার-সদস্যদের।
রাতে তিনি জানান, এমপি রণজিতকে পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেই অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সিএমএইচ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে।রাতেই তার সিএমএইচ-এ ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. শাহীন।রাত দেড়টার দিকে এমপি রণজিত রায়ের ছেলে বাঘারপাড়া যুবলীগ নেতা রাজিব রায় জানান, তার বাবাকে এই মাত্র সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হলো। আপাতত এই হাসপাতালেই তার চিকিৎসা চলবে। দরকার হলে ঢাকায়ও নেওয়া হতে পারে।
এদিকে, এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নমুনা পরীক্ষার কাজ চলছিল। পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার সকালে ফলাফল সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. শিরিন নিগার।
সুত্রঃ সুবর্ণ ভুমি
No comments:
Post a Comment