প্রতিবন্ধকতাকে মেধা দিয়ে কাটিয়ে উঠতে চায় তামান্না আক্তার। জীবনের শুরু থেকেই স্বপ্ন ও বাস্তবতার পার্থক্য বুঝতে শেখা তামান্না গবেষক হতে চান। পা দিয়ে লিখে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া এই মেধাবীকে আনা হয়েছে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে। ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, চেষ্টা করা হবে তাকে দু’পায়ে হাঁটানোর। মুক্ত কর ভয় আপনা মাঝে শক্তি ধরো; নিজেরে কর জয়- পঙক্তি দুটির মধ্যে দিয়ে নিজের অদম্য প্রাণশক্তির কথাই যেন ফুটিয়ে তুলেছেন তামান্না আক্তার। দু’হাত আর এক পা না থাকার প্রতিবন্ধকতা থাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। পা’কেই বানিয়েছেন মেধা প্রকাশের হাতিয়ার।জীবনযুদ্ধে বেড়ে ওঠা তামান্না নজিরবিহীন সাফল্য দেখিয়েছেন লেখাপড়ায়। প্রাথমিক সমাপণী থেকে এইচএসসি পর্যন্ত প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন জিপিএ-৫। স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার, তবে বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই এগুতে চান। এইচএসসি পরীক্ষায় ভাল ফল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সরাসরি ফোন করে অভিনন্দন জানান। তামান্নার স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকার আশ্বাস দেন সরকার প্রধান।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির সন্তান তামান্না আক্তার নূরা। জন্ম থেকেই দুটি হাত, একটি পা নেই তার। তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় তামান্না নূরা। প্রথম এই সন্তান পৃথিবীতে আসার পর, দূরে সরে গেছে আপনরা। নানা কুসংস্কারের জন্য সামাজিকভাবে হেনস্তা হতে হয়েছে বাবা-মা’কে। তামান্নাকে আনা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। তাকে দুই পায়ে দাঁড় করানোর নতুন এক চ্যালেঞ্জ নিতে চান চিকিৎসকরা। এমন প্রচেষ্টা তামান্নাকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে জীবনের নতুন এক অধ্যায়ের। এখন তিনিও স্বপ্ন দেখছেন পরিবারের জন্য, দেশের জন্য কিছু করে দেখানোর।
No comments:
Post a Comment