যবিপ্রবি ছাত্র রিয়াদ রিয়াদ হত্যা : হুমকির অডিও নিয়ে যশোরে তোলপাড় - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

a1

Sunday, September 5, 2021

যবিপ্রবি ছাত্র রিয়াদ রিয়াদ হত্যা : হুমকির অডিও নিয়ে যশোরে তোলপাড়

 


যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ছাত্র নাইমুল ইসলাম রিয়াদ হত্যাকাণ্ডের আগে তাকে হুমকি দেওয়া-সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ডিং ক্লিপের কথোপকথন ফেসবুকে ভাইরাল নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নিহত রিয়াদের পরিবারের দাবি, ওই কথোপকথন রিয়াদের সঙ্গে যশোর সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলের। মোবাইল ফোনে তা রেকর্ড করা হয়েছিল। এক মিনিট ঊনচলি্লশ সেকেন্ডের অডিও রেকর্ডিং ক্লিপ পুলিশ, গণমাধ্যমের কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।


অডিওতে যে কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, তা রিয়াদ ও আনোয়ার হোসেন বিপুলের। হত্যাকাণ্ডের আগে কোনো একদিন রিয়াদকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটির বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।


ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রিয়াদকে হত্যা করা হয়। পরদিন রিয়াদের মামা বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এস এম শামীম হাসান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিপুলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অন্য দু'জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। অগ্রগতি না হওয়ায় ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।


অডিও রেকর্ডিংয়ে যা আছে

অপর প্রান্ত :কী করলা জানো না। আমি বলছি, তোমাদের সবগুলোরে হাড়হাড্ডি ভেঙে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। ঠিক আছে না। তোমাদের পড়ার সাধ মিটিয়ে দিবানে। ...(মুখ খিস্তি) ফিরে চলার জায়গা পাওনা, তাই না? সোহাগ ভাই, রাজু ভাই কমিটিতে আছে। এই কমিটি তোরা মানিস নে। তোদের এত বড় সাহস দিল কীডারে?

রিয়াদ :ভাই, আমরা তো সেক্রেটারি ভাই... (কথা থামিয়ে দেন নেতা)।

অপর প্রান্ত :এই তোরা মানিস নে তো আবার সাংবাদিক সম্মেলন করছিস, একেকজনরে হুমকি দিচ্ছিস। কালকে থেকে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যাবি। তোদের কোন বাপ ক্যাম্পাসে ঢোকায়, কাল থেকে আমি দেখে নেব। আমি ঢাকায় ছিলাম...।

রিয়াদ :ভাই ভাই... (কথা থামিয়ে দেন নেতা)।

অপর প্রান্ত :এই আমি যেইডে বলব, সেইডে শোন। তুই কোনো কথা বলবি নে। তুই শুধু শুনবি। এই তোদের ভিসি ঠেকাতে পারবে? তোদের ভিসির চেয়ার থাকবে? ফাজলামি পাইছ, তাই না। কালকের থেকে হল ছেড়ে দিবি। যতদিন পর্যন্ত আমি তোদের না বলব, ততদিন পর্যন্ত তুই ক্যাম্পাসে আসবিনে। কাল সকালে যেন আমি দেখি তুই হল ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে গেছিস। আর তা না হলে তুই কিন্তু হসপিটালে ভর্তি হবি। আমি স্ট্রেইট বলে দিচ্ছি। কথাটা মনে রাখিস। কাল সকাল ১০টার মধ্যি ক্যাম্পাস ছেড়ে দিবি। তোর হলের থেকে সব গুছিয়ে নিয়ে ভিসিরে জানিয়ে দিবি, বিপুল ভাই বলেছে, সকাল ১০টার মধ্যে আমার ক্যাম্পাস ছাড়তে। পারলি ভিসির বলিস যে তোর ঠেকাতে ঠিক আছে? আর ভিসির সংস্পর্শে যদি থাকিস তুই হসপিটালে ভর্তি হবি, কথাটা মনে রাখিস।

রিয়াদ :ভাই, এবার আমি একটা কথা... (কথা থামিয়ে দেওয়া হয়)।





অপর প্রান্ত :১০টার মধ্যে চলে যাবি। তোর কোনো কথা আমি শুনব না।

রিয়াদ :ভাই, আমি দুই মিনিট কথা বলব।

অপর প্রান্ত :তোদের আর কোনো কথা শুনব না। অনেক বুঝাইছি, তোদের আর বোঝাব না। আমি তোর এক মিনিটও কথা শুনব না। এটা আমার শেষ কথা... (এই বলে সংযোগ কেটে দেন নেতা)।

রিয়াদ :ভাই ভাই... (এর পর আর কোনো কথা শোনা যায়নি)।

তবে  বিপুল দাবি করেছেন, ওই বক্তব্য তার নয়। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করে ওই কথোপকথন তার নামে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চক্রান্তকারীরা এ ধরনের অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

                                   অডিও  ....



No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad