যশোরে কলার আকাশ ছোঁয়া দাম, এক ছড়ি ১২০ টাকা - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

a1

Saturday, April 2, 2022

যশোরে কলার আকাশ ছোঁয়া দাম, এক ছড়ি ১২০ টাকা

 




ইফতারি ও সেহরির অন্যতম অনুষঙ্গ কলার দাম যেন আকাশ ছুঁয়েছে যশোরের বাজারগুলোতে। রোজা শুরুর আগে বড় আকারের কলা বিক্রি হচ্ছে ছড়ি ১২০ টাকা।  যে ছড়িতে থাকছে ১২/১৪ টা কলা। যার প্রতিটি দাম পড়ছে ১০ টাকা। এছাড়া যেসব কলার ডজন ছিলো ২০/৩০ টাকা তা বিক্রি হচ্ছে ৭০/৮০ টাকা। আকাশছোঁয়া দামের কলার দিকে তাকাতে পারছেন না নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।

শনিবার রাত ১০ টার পর যশোরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা চত্তরে যেয়ে দেখা যায় কলার বোঝাই ভ্রাম্যমান দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় ।  কলার দাম শুনে ক্রেতাদের সাথে দোকানীদের চলছে একের পর এক বাকবিতন্ডা।  ক্রেতারা জানান, ছোট চাঁপা কলা গতকালও বিক্রি হয়েছে ২০/৩০ টাকা। অথচ আজ একই কলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া একটু ভালো মানের কলা যা বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকায় তা আজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১শ’২০ টাকায়। রীতিমত সবাই এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। কিন্তু কে শোনে কার কথা। বিক্রেতারা কলার দাম বেধে দিয়েছে। অনেকে বাধ্য হয়ে কলা না কিনে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। শুধু দড়াটানাতেই নয়, বড়বাজার, চৌরাস্তা, কাঠেরপুল, চুয়াডাঙ্গা বাস স্টান্ডেও এই দামেই কলা বিক্রি করতে দেখা যায়। 
কলার দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতা আশরাফুল, মনিরুল, মিলন, নজরুল সহ আরো কয়েকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,  বাজারে সরবরাহ কম তাই কলার দাম বেশী। বেশী দামে কিনতে হচ্ছে বলে বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। 
তবে ক্রেতাদের দাবি,  কলার সরবরাহ পর্যাপ্ত। দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে আরিফ জিহাদ নামের এক ক্রেতা বলেন,  কলার এত দাম কেউ কখনও আগে দেখেনি। কলার এত দাম হাওয়ার কথা নয়। রমজানে বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে সুযোগ নিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
শাহ আলম নামের অপর এক ক্রেতা বলেন, দিনভর পানাহার থেকে বিরত থেকে সন্ধ্যায় ইফতারের টেবিলে ও রাতে সেহরির খাবারে কলা ছাড়া যেন চলেই না। বিশেষ করে পাকা আম রমজানে না ওঠায় কলার চাহিদা এবার বেশি। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা কলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ইচ্ছেমতো। নিদারুণ অসহায় ক্রেতারা বেশি দামেই কলা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।  
সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ রমজান এলে ব্যবসায়ীরা কলার দাম বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এবার বাড়ার মাত্রাটা বেশি।  এবার দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে কলা। এবার কলা নিয়ে ব্যবসায়ীরা মেতে উঠেছে অন্যরকম এক কারসাজিতে।  বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন সবাই।
সুত্রঃ রাতদিন নিউজ

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad