২৮ টাকার আলু হাত বদলে ব্যাগে ঢুকছে ৬০ টাকায় মধু খাচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

hil

Friday, September 6, 2024

২৮ টাকার আলু হাত বদলে ব্যাগে ঢুকছে ৬০ টাকায় মধু খাচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা


 

দেশের যেসব জেলায় আলুর উৎপাদন ভালো হয়, তার মধ্যে মুন্সীগঞ্জের নাম রয়েছে অগ্রভাগে। জেলাটিতে প্রতি বছর প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়ে থাকে। কিন্তু কৃষক হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে আলু ফলালেও ফায়দা লোটেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। কৃষক উৎপাদন খরচ থেকে সামান্য লাভে আলু ছেড়ে দিলেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা মুনাফা তোলেন বেশি। উৎপাদক পর্যায়ে ২৮ টাকার আলু হাত বদলে ভোক্তার ব্যাগে উঠছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। ফলে ‘লাভের মধু’ খাচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।

কৃষক, ব্যবসায়ী ও হিমাগার সূত্রে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জে গত মৌসুমে বৃষ্টির কারণে দুই দফা আলু লাগাতে হয়েছে। এতে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ পড়েছে ১৫-১৬ টাকা। কৃষক পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে সেই আলু বিক্রি করেছেন ২৮ টাকা কেজিতে। এতে ৫০ কেজির এক বস্তা আলুর দাম পড়ে ১ হাজার ৪০০ টাকা। মূলত এর পরই শুরু হয় দাম বাড়ানোর খেলা। হিমাগারের খরচ দিয়ে ২৮ টাকার আলু হয়ে যাচ্ছে ৪০ টাকা। পরবর্তী সময়ে হিমাগার থেকে বের করার পর কেজিতে আরও দুই থেকে চার টাকা দাম বাড়ছে। এক বস্তার দাম পড়ছে ২ হাজার ২০০ টাকার ওপরে। পাইকাররা সেই আলু বাজারে বিক্রি করছেন ২ হাজার ৬০০ টাকা বস্তায়; ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে। এই আলু খুচরায় এসে হয়ে যাচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। ৫০ কেজির বস্তার দাম পড়ছে ৩ হাজার টাকা।

কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বছর আলুতে লোকসান গোনার পর এ বছর প্রান্তিক কৃষক কিছুটা লাভের মুখ দেখেছেন। ফলন কম হলেও দাম বেশি পাওয়ায় আগের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারছেন। এবার অনেক কৃষক উৎপাদিত আলু বিক্রি না করে বাড়িতে মাচায় সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। হিমাগারেও রেখেছিলেন অনেকে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad