যশোর, ১৫ অক্টোবর: যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণে নিখোঁজ হওয়া ভ্যানচালক আব্দুল্লাহর লাশ উদ্ধার ও তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে শার্শা থানা পুলিশ ও যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যৌথ দল। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ সবাইকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১০ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে নাভারণ এলাকা থেকে ভ্যানচালক আব্দুল্লাহ নিখোঁজ হন। পরদিন তার বাবা ইউনুস আলী শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ ও ডিবি। প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে উদ্ধার করা হয় ভিকটিমের ভ্যানটি। পরে একে একে গ্রেপ্তার করা হয় তিন আসামিকে—মো. আশানুর জামান আশা (৩৭), মুকুল হোসেন (৩৭) ও সাগর (২৪)।
ট্রাংকের ভিতর লাশ
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আশানুরের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ট্রাংকের ভেতর থেকে আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
১০ অক্টোবর রাতে একটি পরিত্যক্ত ভবনে মুকুল, আশানুর, সাগর এবং আব্দুল্লাহ একত্রিত হন। তারা ইয়াবা সেবনের পর মুকুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে আব্দুল্লাহকে হত্যা করে। পরে মরদেহ একটি ট্রাংকে ঢুকিয়ে লেপ দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়। ঘটনা গোপন রাখতে রক্ত মোছা হয় এবং বাড়ির গেট বন্ধ করে তারা পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তার ও আদালতে জবানবন্দি
আটককৃতদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে—আশানুরের নামে ৮টি এবং সাগরের নামে ৭টি। ১৫ অক্টোবর তিনজনকে আদালতে পাঠানো হলে আশানুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
উদ্ধারকৃত আলামত:
-
ভিকটিমের ভ্যান
-
হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি
-
রক্তমাখা হাফপ্যান্ট
-
লাশ গুমে ব্যবহৃত ট্রাংক
মামলার তথ্য:
শার্শা থানায় ১৪ অক্টোবর হত্যা মামলা (নং ১৮/২৫) দায়ের করা হয়েছে, ধারা ৩৯৪/৩০২/২০১/৩৪ অনুযায়ী।
No comments:
Post a Comment